আমাদের কথা
খাজুরতলী সুলতানিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি লক্ষীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন ১৫ নং লাহারকান্দী ইউনিয়নের খাজুরতলী গ্রামে একটি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। পূর্বমূখী প্রতিষ্ঠানটির সম্মুখ দিয়ে একটি প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে। একটুখানী উত্তরপাশে রহমতখালী নদী বয়ে গেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গাছপালা ঘেরা মাদ্রাসাটির সামনে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে সুবিশাল মাঠ। দীর্ঘদিন ধরে বেশ সুনামের সহিত মাদ্রাসাটি পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ প্রতিষ্ঠানটির পাবলিক পরীক্ষাগুলোর ফলাফল ভালো।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
খাজুরতলী গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক জনাব সুলতান আহমদ ভূঁইয়া সাহেবের একক দানকৃত ১ একর ১ শতক জমির উপর ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা এবং তারই গ্রামের নামে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়- “খাজুরতলী সুলতানিয়া দাখিল মাদ্রাসা”। প্রতিষ্ঠালগ্নে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করেন জনাব, মাওঃ মারফত উল্যাহ। পরবর্তীতে ০২/১২/১৯৯৬ সাল থেকে জনাব, গিয়াস উদ্দীন মাহমুদ প্রতিষ্ঠানটির সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তারই অক্লান্ত পরিশ্রমে মাদ্রাসাটি ১৯৯৯ সালে পরীক্ষার অনুমতি, ০১/০১/২০০১ সালে মাদ্রাসা মঞ্জুরি প্রাপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মাদ্রাসাটি ২০০৪ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। মাদ্রাসার উত্তর ভিটিতে প্রতিষ্ঠাতার দানে ১০০ ফুট লম্বা চার কক্ষ বিশিষ্ট দক্ষিণমুখী একটি সেমিপাকা ভবন অবস্থিত। পশ্চিম ভিটিতে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এক তলা ভবন এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ঊর্ধ্বমুখী তিন তলা একাডেমীক ভবন নির্মাণ করা হয়। মাদ্রাসাতে বর্তমানে ৬০০ শতের অধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করতেছে। মাদ্রাসাটিতে দিন দিন ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদ্রাসা পাঠদানের জন্য একের পর এক যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। স্ব-নামধন্য শিক্ষক মন্ডলীর নিরলস প্রচেষ্টায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় শতভাগ পাশের বেশ কয়েকটি রেকর্ডসহ ভালো ফলাফল করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। এই মাদ্রাসা থেকে পাশ করে শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদেশে অধ্যয়নরত আছেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
মাদ্রাসাটিকে লক্ষ্মীপুর জেলার অন্যতম খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি অর্জন করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিক ও আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করে পাবলিক পরীক্ষায় মানসম্মত ভালো ফলাফল করার জন্য শিক্ষাদান ও বর্তমান ডিজিটাল যুগে শিক্ষায় ডিজিটালাইজেশন এর ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করা।